নিজস্ব উদ্যোগে ডাম্পিং স্পট তৈরি করছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
দুই সহযোগী অধ্যাপকের পুনর্বহালের দাবিতে শেবাচিম শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন যে কারণে বাবরের মুক্তি এখনই নয় ক্যানসার প্রতিরোধী টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া, বিনামূল্যে বিতরণের ঘোষণা জিয়াউল আহসানের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক, যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ৪: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লাকুটিয়া খাল পরিস্কারের পরও জনদুর্ভোগ, উদাসীন সিটি কর্পোরেশন বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, ২ দালাল আটক বরিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের মৃত্যু, অক্ষত শিশু কন্যা অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল




নিজস্ব উদ্যোগে ডাম্পিং স্পট তৈরি করছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ

নিজস্ব উদ্যোগে ডাম্পিং স্পট তৈরি করছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ

নিজস্ব উদ্যোগে ডাম্পিং স্পট তৈরি করছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নিজস্ব উদ্যোগে ডাম্পিং স্পট তৈরি করছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল চত্বরেই জরুরি বিভাগের গেটের পাশে এই ডাম্পিং স্পট স্থাপন করা হচ্ছে। গত ৩ মাস ধরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য না নেয়ার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 

 

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার নির্ভরযোগ্য স্থান হচ্ছে হাসপাতাল। যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বৃহত্তর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ক্ষেত্রে ঘটছে উল্টোটা। স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিবর্তে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, স্বজন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ফেলা হচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

 

 

হাসপাতালের জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিভাগের কাছে আবর্জনার ভাগাড় নির্মাণের মাধ্যমে এ ঝুঁকির সৃষ্টি করেছেন তারা। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, রোগী এবং তাদের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ওই স্থানে ডাম্পিং স্পট বা আবর্জনার ভাগাড় তৈরি করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ। এমনকি এ জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়লে সে দায় সিটি কর্পোরেশনকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

 

 

সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন রোগীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিংবা চিকিৎসাসামগ্রীর উচ্ছিষ্ট অংশ অপসারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ বছর ধরে রোগীদের মল-মূত্র, অপারেশন সামগ্রীসহ বিভিন্ন জীবাণুবাহী মালামাল বা বর্জ্য ফেলা হয় হাসপাতালের পেছনে। যা প্রতিনিয়ত অপসারণ করে নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্পটে ফেলে দেয়া হয়।

 

 

কিন্তু করোনা পরিস্থিতির গত তিন মাস ধরে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বর্জ্য অপসারণ করছে না বলে দাবি হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনের। আর তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নিজস্ব উদ্যোগে হাসপাতাল চত্বরেই ডাম্পিং স্পট তৈরি করছেন তারা।

 

 

সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের পশ্চিম পাশে জরুরি বিভাগে প্রবেশ গেটের কাছেই বান্দ রোড ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে ডাম্পিং স্পট। স্ক্যাভেটর দিয়ে হাসপাতালের সামনে সামাজিক বনাঞ্চলের এক পাশে বিশাল গর্ত করা হচ্ছে। সেখানেই হাসপাতালের সh বর্জ্য অপসারণ করে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হিজলা উপজেলার বাসিন্দা শাহানুর বেগমের স্বামী আশিকুল আলম বলেন, একটি হাসপাতালের প্রবেশ গেটে এমন আবর্জনার ভাগাড় নজিরবিহীন। দেশের কোথাও এমনটি আছে বলে মনে হয় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি বুঝে আবর্জনার ভাগাড় করার জন্য এই স্থানটিকে বেছে নিয়েছে তা বোধগম্য নয়। এই আবর্জনার ভাগাড়টি শুধু হাসপাতালে রোগ দেখাতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদেরই নয়, বরং স্থানীয় বাসিন্দাদেরও মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলবে।

 

 

এ দিকে হাসপাতালের সামনের ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ বলেন, জরুরি বিভাগের কাছে সামাজিক বনায়নের জায়গাতে অনেক দিন ধরেই হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা হতো। প্রথম দিকে ছোট একটি গর্ত করে তার মধ্যে ফেলা হলেও এখন বড় ধরনের গর্ত করে স্থায়ী ডাম্পিং স্পট তৈরি করা হচ্ছে। স্বল্প পরিসরে যখন আবর্জনা ফেলা হতো তখনই দুর্গন্ধে মানুষ চলাচল করতে পারেনি। এখন স্থায়ীভাবে ডাম্পিং স্পট করা হলে এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

 

 

বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই বলে দাবি করে হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালের অন্য কোথাও ময়লা ফেলার জন্য জায়গা সৃষ্টি করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অন্যদিকে ডাম্পিং পয়েন্ট না থাকায় গত সাড়ে তিন মাস যাবত সিটি কর্পোরেশন হাসপাতালের কোনো ময়লা নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মূল ভবন থেকে কিছুটা দূরে নতুন ডাম্পিং পয়েন্ট করার কাজ চলছে।

 

সাড়ে তিন মাস ধরে আবর্জনা অপসারণের বিষয়টি স্বীকার করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে হাসপাতালের আবর্জনা সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়েছে। কেননা হাসপাতালে বর্জ্যে জীবাণু রয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এগুলো অপসারণ করতে গিয়ে নিজেদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তারা আক্রান্ত হলে গোটা নগরীর মানুষ আক্রান্ত হবেন। এ কারণেই আপাতত আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

 

তিনি বলেন, হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা হাসপাতাল চত্বরে একটি গর্ত করে দিয়েছি। সেটা আবর্জনায় ভরে গেছে। এ কারণে পাশেই আরেকটি গর্ত করে ডাম্পিং স্পট নির্মাণ কাজ চলছে। সেটাও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে করে দেয়া হচ্ছে। গর্তে আবর্জনা ফেলে প্রতিনিয়ত ব্লিচিং দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিন ব্লিচিং ছিটালে এ থেকে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে না বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD